Svoboda | Graniru | BBC Russia | Golosameriki | Facebook
Transfiguration pending
বিষয়বস্তুতে চলুন

গলজি বস্তু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত কতগুলো ঘনসন্নিবিষ্ট চওড়া সিস্টারনি,থলির মতো ভ্যাকুওল এবং ক্ষুদ্র ভেসিকল এর সমন্বয়ে গঠিত জটিল অঙ্গাণু হল গলজি বস্তু বা গলজি বডি। ইতালীয় স্নায়ুবিজ্ঞানী ক্যামিলো গলজি ১৮৯৮ সালে পেঁচা ও বিড়ালের মস্তিষ্কের কোষে গলজি বস্তু আবিষ্কার করেন। গলজি বস্তুকে কোষের প্যাকেজিং কেন্দ্র বলে। গলজি বস্তু প্রধানত প্রাণিকোষে পাওয়া যায়। তবে উদ্ভিদকোষেও কদাচিৎ দেখা যায়। ইতালীয় স্নায়ুতত্ত্ববিদ ক্যামিলো গলজি ১৮৯৮ সালে গলজি বডি আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই গলজি বডির নামকরণ করা হয়। একে কোষের ট্রাফিক পুলিশও বলা হয়।

কোষের ট্রাফিক পুলিশ[সম্পাদনা]

গলজি বডি কোষের কেন্দ্রীয় অংশ থেকে ঝিল্লিবদ্ধ বস্তু বা ভেসিকল কোষের পরিধির দিকে প্লাজমামেমব্রেন পর্যন্ত নিয়ে যায়। আবার গলজি বডি নিঃসৃত পদার্থের সংগ্রহ ও পরিবহনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। তাই গলজি বডিকে “কোষের ট্রাফিক পুলিশ” বলে।

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

প্রোক্যারিওটিক কোষে এবং কিছু ছত্রাক,ব্রায়োফাইট ও টেরিডোফাইটের শুক্রাণু,পরিণত সীভনল এবং প্রাণীর লোহিত রক্তকণিকায় গলজি বস্তু অনুপস্থিত।উদ্ভিদকোষে সাইটোপ্লাজম ছড়ানো থাকে,কিন্তু প্রাণিকোষে এগুলো সাধারণত নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি স্তরীভূত অবস্থায় থাকে বা নিউক্লিয়াসকে ঘিরে রাখে। কখনও বা জালিকার মতো বিন্যস্ত থাকে।

গঠন[সম্পাদনা]

কোষের শারীরবৃত্তিক কাজের ভিত্তিতে গলজি বস্তুর গঠনে ভিন্নতা দেখা যায়। Dalton,Felix প্রভৃতি বিজ্ঞানীর মতে গলজি বস্তুতে ঝিল্লিময় চারটি উপাদান থাকে,যথা- সিস্টারনি,ভ্যাকুওল,ভেসিকল ও পালিকা বা টিউবিউল।

রাসায়নিক উপাদান[সম্পাদনা]

গলজি বস্তুর ঝিল্লি লিপোপ্রোটিন নির্মিত। লিপিডের মধ্যে রয়েছে প্রধানত লেসিথিনসেফালিন জাতীয় ফসফোলিপিডক্যারোটিনয়েড ,ফ্যাটি এসিড,ভিটামিন-সি প্রভৃতিও রয়েছে।গলজি বস্তু এনজাইমে পরিপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমগুলো হচ্ছে- ADPase,Mg++,ATPase,CTPase,TTPase,সামান্য পরিমাণে গ্লুকোজ-৬-ফসফেট[১]

কাজ[সম্পাদনা]

  1. লাইসোজোম তৈরি করা।
  2. অ-প্রোটিন জাতীয় পদার্থের সংশ্লেষণ করা।
  3. কিছু এনজাইম ও প্রাণরস নির্গমন করা।
  4. কোষ বিভাজন কালে কোষপ্লেট তৈরি করা।
  5. প্রোটিন, হেমিসেলুলোজ, মাইক্রোফ্রাইব্রিল তৈরি করা।
  6. কোষস্থ পানি বের করা।
  7. এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এ প্রস্তুতকৃত দ্রব্যাদি ঝিল্লিবদ্ধ করা।
  8. বিভিন্ন পলিস্যাকারাইড সংশ্লেষণ ও পরিবহনে অংশ গ্রহণ করা।
  9. মাইটোকন্ড্রিয়াকে ATP উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে।
  10. শুক্রাণুর অ্যাক্রোজোম তৈরিতে সহায়তা করা।

পদ্ধতিঃ প্রথমে মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামে উৎপন্ন ট্রানজিশন ভেসিকল দ্বারা আবৃত রাইবোসোম/প্রোটিন গলগি বডির সিজ সিস্টার্নায় প্রবেশ করে সেখানে উন্মুক্ত হয়। পরবর্তীতে,সেখানে ঝিল্লিবদ্ধ হয়ে(প্রোটিন/রাইবোজোম)ট্রান্স সিস্টার্নার ভেতর দিয়ে সিক্রেটরি ভেসিকলের মাধ্যমে গলজি বডি থেকে বের হয় এবং নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে।

TGN=(Trans-Golgi Network):অনিয়মিত(ভিন্ন ধরনের) আকৃতির সিস্টার্না এবং ভেসিকলসমূহ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. গাজী আজমল,সফিউর রহমান। উচ্চমাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (প্রথম পত্র)। গাজী পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ১২।