Svoboda | Graniru | BBC Russia | Golosameriki | Facebook

অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার ঘটনা নিয়ে পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া ও ইউক্রেন


ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা পাহারা দিচ্ছেন এক রুশ সৈন্য, ১ মে ২০২২। (ফাইল ফটো)
ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা পাহারা দিচ্ছেন এক রুশ সৈন্য, ১ মে ২০২২। (ফাইল ফটো)

একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে হামলা চালানোর জন্য শুক্রবার রাশিয়া ও ইউক্রেন আবারও পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে, জাতিসংঘ অবিলম্বে ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ বাহিনী মারহানেটস শহরে অন্তত ৪০ টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। মারহানেটস শহর ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশের নিপার নদীর অপর পাড়ে অবস্থিত।

ঐ অঞ্চলের গভর্নর, ভ্যালেনটিন রেজনিশেঙ্কো জানান, ঐ আক্রমণে ১২ বছর বয়সী এক বালকসহ তিনজন বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া ইউক্রেনকে দায়ী করে।

শুক্রবার ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে ব্যাপক লড়াই ও গোলাবর্ষণ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান বলেন যে, লড়াই বন্ধ না হলে এবং পরিদর্শকদের স্থাপনাটির ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলে, সেখানে “পারমাণবিক বিপর্যয়ের বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে”।

আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বৃহস্পতিবার দিনের শেষদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালে বলেন, “এটি একটি গুরুতর সময়, এক মারাত্মক সময়। আইএইএ-কে জরুরিভিত্তিতে ঝাপোরিঝিয়ায় মিশন পরিচালনা করতে অনুমতি দিতে হবে।”

ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে থাকা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানে হামলা চালাতে স্থাপনাটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। গত দুই সপ্তাহজুড়ে ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

স্থাপনাটি রুশ সৈন্যদের দখলে থাকলেও, ইউক্রেনের কর্মীরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করা অব্যাহত রেখেছেন।

XS
SM
MD
LG