Svoboda | Graniru | BBC Russia | Golosameriki | Facebook

অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তান আইএমএফঃ বেইলআউটের শেষ কিস্তি নিয়ে প্রাথমিক চুক্তি


২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পাকিস্তানের করাচিতে একটি বাজারে শ্রমিকরা কাজের জন্য অপেক্ষা করছে। ফাইল ছবি।
২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পাকিস্তানের করাচিতে একটি বাজারে শ্রমিকরা কাজের জন্য অপেক্ষা করছে। ফাইল ছবি।

বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, তারা ৩০০ কোটি ডলারের বেইলআউট প্যাকেজের আওতায় শেষ কিস্তি দেবার জন্য পাকিস্তানের নবনির্বাচিত সরকারের সাথে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে।

ঋণ খেলাপি এড়াতে গত বছরের ৯ মাসের সাময়িক ব্যবস্থা (এসবিএ) পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে ইসলামাবাদের কর্মকর্তাদের সাথে প্রায় সপ্তাহব্যাপী আলোচনা শেষে আইএমএফ এই ঘোষণা দিয়েছে।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান নাথান পোর্টার বলেন, “আইএমএফ দল পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা কর্মসূচির দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্যালোচনা নিয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সাথে স্টাফ পর্যায়ের চুক্তিতে পৌঁছেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তিটি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে। এর ওপর এসবিএ-র অধীনে অবশিষ্ট ১১০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে।”

পাকিস্তান এই কর্মসূচি থেকে এর মধ্যে প্রায় ১৯০ কোটি ডলার পেয়েছে। এর মেয়াদ এপ্রিলে শেষ হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের আইএমএফের সাথে স্টাফ পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে অবহিত করা হয়। বৈঠকের পর শরিফের কার্যালয় থেকে বলা হয়, এই চুক্তি দেশের অর্থনীতির উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

আইএমএফ নিশ্চিত করেছে, ইসলামাবাদ নগদ অর্থের সংকটে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ‘জেঁকে বসা অর্থনৈতিক দুর্বলতা স্থায়ীভাবে কাটানোর লক্ষ্যে’ তারা মধ্যমেয়াদী অর্থায়ন কর্মসূচিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনার প্রাক্কালে বলেছিলেন, তার সরকার ঋণদাতার বর্ধিত তহবিল সুবিধার অধীনে “দীর্ঘ ও বৃহত্তর” ঋণ কর্মসূচি পেতে সুযোগটি ব্যবহার করবে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ আইএমএফের কাছ থেকে কমপক্ষে ৬শ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিল। তবে আওরঙ্গজেব অতিরিক্ত ঋণের পরিমাণ প্রকাশ করেননি।

XS
SM
MD
LG