গাজা ভূখণ্ডে মানবিক ত্রাণ পাঠানো ও বিতরণের ওপর ‘বেআইনি বিধিনিষেধ’ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর একথা জানায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন ভোলকার তুর্কের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের বাহিনী গাজায় বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস অব্যাহত রেখেছে।
শামদাসানি বলেন, “হাইকমিশনার আবারও বলছেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হতে হবে, জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে এবং অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ ও অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।”
ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক অভিযানকে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে লক্ষ্য করে চালানো বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকায় তৎপরতা চালানোর অভিযোগ করেছে।
ছয় মাসের লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে এবং এর ফলে গাজার বেশিরভাগ জনগণ মিশরীয় সীমান্তের কাছে রাফাহ এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কার্বি সোমবার বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় মানবিক ত্রাণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় যে এই ত্রাণ অব্যাহত রয়েছে।
কার্বি এমএসএনবিসি-কে বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১০০ ট্রাক ছিটমহলে প্রবেশ করেছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ট্রাকে করে মোট দুই হাজার ত্রাণ সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে।
ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো গাজা সিটির একটি বেকারি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় কাজ শুরু করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ছিটমহলের একটি অংশে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য পার্সেল এবং গমের আটা সরবরাহ করেছিল। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাইডেন গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং সেখানে ত্রাণকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের বিষয়ে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কাজে লাগানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।
